বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১১

স্বাধীনতার 40 বৎসর এবং আগামী 40 বৎসর পরে বাংলাদেশ

আজ থেকে 40 বৎসর আগে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর চীফ জেনারেল নিয়াজী ভারতীয় সেনা বাহিনীর চীফ জেনারেল আরোরা এর নিকট আত্বসমর্পন করার মাধ্যমে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি দেশের জম্ন হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভারতই আমাদের একমাত্র বন্ধু ছিল যে, সর্বদিক থেকে আমাদের কে সাহায্য সহযোগীতার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করতে সাহায্য করেছিল। 40 বৎসর আগে আমি দুনিয়াতে আসি নাই তাই তখনকার কোন কিছুই আমার দেখা নয়। ইতিহাসের পাতা থেকে পড়ে যা বুঝতে পারি সে টুকুই। আর তখনকার সময়ের কোন লোক থেকে যা শোনা। এই সম্পর্কে লেখা শুরু করলে হয়ত শেষ হতে চাইবে না। তাই আমি বিস্তারিত বিষয়ে না গিয়ে শুধুমাত্র সংক্ষিপ্ত আকারে স্বাধীনতার 40 বৎসর পরের আজকের এই বাংলাদেশ এবং আগামী 40 বৎসর পরের বাংলাদেশ এর মাঝখানে দাড়িয়ে আপনাদের সাথে কিছু শেয়ার করতে যাচ্ছি।

স্বাধীনতার 40 বৎসর পার হয়ে গেলেও আজ ও আমরা স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহন করতে পারছি না। স্বাধীন ভাবে আকাশে পাখা মেলে উড়ে বেড়ানো একটি পাখির মত আনন্দ করে আমরা কি বাচতে পারছি? উত্তরে হয়ত বেশীরভাগই আমার মত করে বলবেন,  না। অথচ যে সকল ভাই, বাবা, সন্তানেরা জীবন উৎসর্গ করে দিল যে সকল মা বোনেরা তাদের সম্মান দিল তারা কি আজকের এই দেশ চেয়েছিল? আর যারা সেই বিভীষিকাময় যুদ্ধের ময়দান থেকে আমাদের জন্য স্বাধীনতার সোনালী সূর্য নিয়ে এলো তারা এখন কোথায়। হয়ত বেশীর ভাগই দুনিয়া থেকে চির বিদায় নিয়েছে। আর যারা এখন ও বেচে আছে তারা ? অন্তরের মধ্যে ভীষন কষ্ট অনুভব হয় যখন খবরের কাগজে দেখি  কোন মুক্তিযোদ্ধা জীবন চালানোর তাগিদে হয়ত মুটে গিরি করছে বা কারও কাছে ভিক্ষার হাত পাতছে। অথচ আমাদের দেশের সরকার এই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে তাদের দেখভাল করার জন্য একটি মন্ত্রনালয় খুলেছে এবং এদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও তাদের সন্তাদের ও সহায্য করছে। 

স্বাধীনতার পূর্বে আমাদের দেশের কিছু শিল্প কারখানা ছিল যা বিশ্বের বুকে বাংলাকে সম্মানিত করতে এদেশের মসলিন তার উদাহারন। তাছাড়া আদমজী জুট মিলসটি এই সেদিন ও চালু ছিল, খুলনা আঞ্চলের শিল্পগুলির কথাই ধরা যাক, নিউজপ্রিন্ট কারখানা ইত্যাদি। স্বাধীনতার এই 40 বৎসরে এক একে আমরা হারিয়েছি আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প গুলোকে । অথচ শ্রমিক থেকে শুরু করে সবাই দ্বায়িত্ব ছিল এটাকে আরো উৎপাদনশীল করার মাধ্যমে দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া। শুধু কি শিল্পে এই অবস্থা? বাংলাদেশ কে আজ কেহ সোনালী আশের দেশ বলে না। চা রপ্তানী করে আর আগের মত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায় না। শুধু কি তাই আজ পিয়াজ রসুন থেকে জীবন ধারনের যাবতীয় উপকরণ এর জন্য আমরা অন্যের উপর নির্ভরশীল। ‍খাদ্যদ্রব্যের জন্য ভারত আর জীবনকে সুন্দর করে সাজাতে চীন এই হলো আমাদের 40 বৎসর পরের অর্জন।

ফিরে আসি বাংলাদেশের স্বাধীনতা‍র সোনালী সৃর্যের উদয়ের সেই মাহেন্দ্রক্ষণে যখন একমাত্র ভারত ই আমাদের ভরসা। আমাদের কত আপন বন্ধু ভারত। মুলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ভারতছাড়া কোনভাবেই সম্ভব ছিল না। সেই ভারত আজ 40 বৎসর পরে বিশ্বের বুকে ক্ষমতা বা অর্থনৈতিক ভাবে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে। বাংলাদেশের জম্নের সময়ে যেভাবে ভারত আমাদের সহযোগীতা করছে, দেশ গড়তে কি পারত না আমাদেরকে সাহায্য করতে। অথচ এমনকি ঘটল মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে ফারাক্কা বাধ দিতে হলো। কেন বাংলাদেশ কে প্রাকৃতিক উৎসে থেকে পাওয়া পানি দেওয়া গেল না।

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, সুজলা সুফলা সষ্যের দেশ ছিল আমাদের এই বাংলাদেশ। বর্যার মৌসুমে নদীগুলোতে থাকত পানি আর পানি সেই পানি নদী ছাড়িয়ে চলে যেত মাঠে ঘাটে ফলে নদীর পানিতে বয়ে আনা পলি জমা পড়ত আমাদের ক্ষেতখামারে আর এই সকল ক্ষেতে উৎপন্ন হত রবি সষ্য। বাংলাদেশের ভুমি ছিল সব সময় উর্বর। এমন কেন হলো যে ভারত মনে করল বাংলাদেশের জমিতে ফসল উৎপন্ন হতে দেওয়া যাবে না। বাধ দিতে হবে ফারাক্কা। এই ফারাক্কা বাধের কারনে আজ বাংলাদেশ আর নদী মাতৃক দেশ নাই। নদীতে আর পানি আসে না তাই নদীর পলি নদীতেই জমতে জমতে ভরাট হয়ে গেছে। ক্ষেত খামারে আর ফসল উৎপন্ন হয় না। 15/20 বৎসর আগে যে নদীটি ছিল প্রমত্তা যার বুকে ব্রীজ তৈরি করা হয়েছিল। আজ সেই নদীর বুকে গেলে মনে হয় এ কোন পাগলের দেশে এলাম রে বাবা যে খানে রাস্তা তৈরি করা যেত সেখানে এভাবে কেন ব্রীজ দিয়েছে এরা।

ভাবছেন আগামী 40 বৎসর পর এদেশ কি অবস্থায় পতিত হবে? ফারাক্কা বাধের কারনে এই অবস্থা। যদিও একটু আধটু পানি আসছে তিস্তা দিয়ে সেখানেও বাধ দিতে হবে। বিবেকবান মানুষ কি মনে করেন , কেন এটা করতে হবে। এক ফারাক্কা বাধের কারনে আজ বাংলাদেশ মরু ভূমির দেশ হতে চলছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল অল্পকিছুদিনের মধ্যে মরুভূমিতে রুপ নিতে পারে। বিশাল প্রমত্তা পদ্মা যেখানে মরা খাল হবার উপক্রম। সেখানে আবার তিস্তা ব্যারেজ।

1947 সলে যখন ভারত পাকিস্তান ভাগ হয় তখন আমরা পাকিস্তানের একটি অংশ হিসাবে অর্ন্তভুক্তি হলেও মূলত পাকিস্তান আমাদের থেকে অনেক দুরে আমরা ভরত দ্বারা পরিবেষ্টিত এমন ছোট একটি ভূখন্ড যা বিশ্বের মানচিত্রে খালি চোখে দেখা দায়। সেই ভারতের সাহায্যে আমরা পাকিস্তানের থেকে আলাদা হলাম। আর এখন ভারত আমাদের কে এভাবে চেপে ধরছে। এই ভাবে চলতে থাকলে আগামী 40 বৎসর পর বাংলাদেশকে ভারতের কাছে নিজেকে সপে দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না। এমনিতে যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে। সেই হারে খাদ্য উৎপাদন কমে যাচ্ছে। আর দিনকে দিন আবাদি জমি তার উর্বরতা হারাচ্ছে। পানির জন্য হাহাকার লেগে যাবে আগামী 40 বৎসর পর। তখন আমাদের জাতীয় নেতারা কি আর করবে দেশের মানুষকে একটু খাবার জোগানোর চেষ্টায় দেশকে ভারতের কেন্দ্রিয় সরকারের অধিনে সর্মপন করা ছাড়া আর কি করার থাকবে। ভারত কি তাই চচ্ছে কিনা কে জানে?  তখন হয়ত ভারতই চিন্তা করবে কেমন করে আবার বাংলার ভূমিকে তার আগের রুপে ফেরৎ নেওয়া যায়. তখন হয়ত থাকবে না কোন ফারাক্কা বা তিস্তা।

শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০১১

আল্লাহুর সৃষ্টি আর মানুষের জ্ঞান




সর্বময় ক্ষমতার একমাত্র অধিকারী মহান আল্লাহ পাক। সব কিছুই তিনি সৃষ্টি করেছেন। যত সৃষ্টি তিনি করেছেন তার মধ্যে মানুষকে শ্রেষ্ট হিসাবে সম্মান দিয়েছেন। তিনি মানুষের মধ্যে যে বিষয়টা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন তা আর কাহার মধ্যে দেন নাই তাই মানুষ ই সেরা। তবে মানুষের সাথে জিন জাতীর অনেক মিল রয়েছে। যদিও বা জিন রা মানষের দৃষ্টি সিমার বাহিরে তবুও তারা মানুষের সমান নহে। আল্লাহ পাক মানুষকে যতগুলো গুণ দিয়েছেন তার মধ্যে ভাল মন্দ চিন্তা করা আর সেই চিন্তাকে কাজে লাগিয়ে কিছু রুপান্তর করা অন্যতম। যেমন মানুষ সৃষ্টির সময়ে ছিল এক রকম, গুহাতে জীবন যাপন করত আর বর্তমানে সুরম্য অট্টলিকাতে জীবন যাপন করে। আজ মানুষ দুনিয়ার এক প্রান্তে বসে সারা দুনিয়ার খরব রাখছে। দুনিয়ার একপ্রান্তে বসে আজ কেউ কথা বললে তা সারা দুনিয়ার মানুষ শুনতে পাচ্ছে। এমনকি দুণিয়ার বাহিরেও মানুষ তার জ্ঞানের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। মঙ্গল গ্রহে বা চাঁদে কি আছে তাও আজ এই মানুষ দুনিয়াতে বসে জানতে পারছে। মানুষ তার জ্ঞানের দ্বারা নিত্যনতুন বিষয় আবিস্কার করে চলেছেন যা প্রতিনিয়তই মানুষের প্রয়োজনে লাগছে। এই যে মানুষের জ্ঞান তা  নির্বাচিত জনের জন্য একমাত্র আল্লাহুর পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়েছে। এবং অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা মানুষকে দান করা তার এই নেয়ামতকে ও কোন সীমার মধ্যে রেখেছেন। সেই সীমার বাহিরে মানুষের জ্ঞান কোন দিনও যেতে পারবে না। লক্ষ করুন মানুষ আজ দুনিয়া থেকে কোটি কোটি বছরের দুরের বিষয়গুলি নিয়ে গবেষনা করছে এবং সেটার সাথে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তার সম্পর্কে ধারনাও দিচ্ছে অথচ যে পৃথিবীতে সে বসে এই জ্ঞানের চর্চা করছে সেই পৃথিবীটাকেই সম্পূর্ণরুপে আজও মানুষ চিনতে পরে নাই, বুঝতে পারে নাই। এ বিষয় সম্পর্কে পত্রিকা বা কোন মিডিয়ার খবরের মধ্যেমে আমরা জানতে পারি এরকম বহু স্থান এখন ও পৃথিবীতে রয়েছে যা মানুষের কাছে এখন রহস্যময় রয়েছে। মানুষ এর রহস্য ভেদ করতে পারছে না। তার মধ্যে বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল অন্যতম। কত বিমান যে এখানে এসে কোথায় যেন হারিয়ে গেছে তা আজ ও কোন মানুষের পক্ষে সন্ধান করা সম্ভব হয়ে উঠেনি তা অনেক মানুষের ই জানা আছে মিডিয়ার কল্যানে। এরকম আরেকটি স্থানের নাম মেক্সিকোর জোন অব সাইলেন্স। এটি একটি মরু এলাকা এখানে কেউ টেপ রেকর্ডার বাজাতে থাকলে হটাৎ তা বন্ধ হয়ে যায় এমনকি চলন্ত গাড়ীর ষ্টার্ট ও বন্ধ হয়ে যায়। কেন এমন হয় তা আজ মানুষের পক্ষে রহস্য ভেদ করা সম্ভব হয় নাই। তাছাড়া এখানের পোকা মাকড়, প্রানীগুলো ও পৃথিবীর অন্য যে কোন স্থানের সাথে সামঞ্জস্য নয়। মানুষ তার জ্ঞানের বলে গবেষনা চালিয়ে হয়ত একদিন এই রহস্যের ভেদ জানতে পারবে তারপর ও এই পৃথিবীতে দেখা যাবে কোথাও না কোথাও এমন কোন বিষয় থেকে যাবে যা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেহ বলতে পারবে না তার ভেদ কি। সব কিছুই যে আল্লাহ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এসব তারই নিদর্শন। এত গেল এই পৃথিবীর চার ভাগের একভাগ মাত্র স্থল এর কথা বাকি তিনভাগ পানির জগতের বিষয়টি রয়েছে। ওখানে না জানি আল্লাহ কত কি ই না জমা করে রেখেছেন।

বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০১১

বিজ্ঞাপনের সৌজন্যে নাটক না নাটকের সৌজন্যে বিজ্ঞাপন।


বাংলাদেশে অনেক ভাল ভাল নাটক নির্মাতা আছেন যারা সুন্দর সুন্দর নাটক আমাদেরকে উপহার দেন। একটা সময় ছিলো যখন নাটক দেখতে খুবই ভাল লাগত। মনে হয় নাটক দেখতে বসে কেউ বিরক্তি বোধ করত না। সবাই একটা স্বস্তিতে নাটক দেখতে পারত। তখন কোন কোন কোম্পানীর সৌজনে নাটক পরিবেশন করা হত। 50 মিনিট বা 1 ঘন্টার নাটকে তিন বারে সর্বোচ্চ 10 মিনিট বিজ্ঞাপন প্রচার করা হত। কিন্তু বর্তমানে আমার মনে হয় কোন দর্শক ই আর স্বস্তিতে নাটক দেখতে পায় না। কারন এখন নাটকের থেকে বেশী সময় বিজ্ঞাপন প্রচার হয়। 5 মিনিট নাটক তো কোন কোন ক্ষেত্রে 15 মিনিট বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। ফলে 5 মিনিট নাটক দেখার পর 15 মিনিট বিজ্ঞাপন দেখতে দেখতে আর পূর্বের প্রচার হওয়া নাটকের গল্প মনে করে রাখা সম্ভব হয় না। তাছাড়া বিজ্ঞাপন প্রচারের এই অত্যাচারে দর্শক এখন আর একটা চ্যানেলে বসে থাকে না। বিভিন্ন চ্যানেলে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। ফলে যে নাটকটি দেখতে বসা তা আর স্বস্তিতে দেখা সম্ভব হয় না। টেলিভিশনের সামনে বসলে মনে হয় এখন কি শুধু বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য নাটক নির্মান করা হয়। এক নাগাড়ে বিজ্ঞাপন দেখবে দর্শক মাঝে মাঝে একটু আধটু নাটক তাই তো বলা চলে এখন বিজ্ঞানের সৌজনে নাটক প্রচার নয় বরং নাটকের সৌজন্যে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়।  

রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১১

অফুরন্ত ভান্ডার এর মালিক আল্লাহ।

দুনিয়াতে যত দিন একজনও মানুষ থাকবে যিনি পরম করুনাময় আল্লাহকে স্বরণ করবেন। ততদিন পর্যন্ত এই দুনিয়া আল্লাহ তায়ালা ধংস করবেন না। এটা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মুসলমান তথা আল্লাহর পছন্দের বান্দাদের জন্য করুনা বা নেয়ামত। আবার যে মানুষগুলো পরকালে আল্লাহুর বিচার ফায়সালার পর বেহেস্তবাসী হইবেন তাহাদের মধ্য একজন ব্যাক্তি এমন সম্পদের অধিকারী হবেন যে তার সম্পদ এই দুণিয়ার দশ গুণের কম হবে না। ঐ লোকদের মধ্য এমন লোক ও থাকিবে যাহারা দুনিয়া থেকে তিল পরিমান ইমান নিয়ে কবরবাসী হইবেন। পাঠক এবার ভাবুন দুনিয়াতে শুরু থেকে কত লোক এই পর্যন্ত আসছেন আর কত লোক শেষ পর্যন্ত আসবেন। এদের মধ্যে কমপক্ষে তিল পরিমান  ইমান নিয়ে কত জন কবরবাসী হইবেন। এককথায় তা গুণে বা বলে শেষ করা যাবে না। তাহলে এই এর প্রত্যেকজন কমপক্ষে দুনিয়ার দশ গুন সম্পদের মালিক হইবেন। এর বেশী কি পরিমান তা আল্লাহ ই ভাল জানেন। ভেবেছেন এই সম্পদ কোথায় আছে। কোথার থেকে আল্লাহ তায়ালা এই সম্পদ দিবেন। ভাবলে আপনি কি পাইবেন তা আমি জানিনা কিন্তু আমি জানি তা আল্লাহুর পক্ষে একেবারেই পানির মত সহজ। আল্লাহুর কাছে কোন কিছুর ঘাটতি নাই। তিনি যা ইচ্ছা করেন তাই হয়। তবু আমি আপনাদের জ্ঞাতার্থে এখানে কিছু পেশ করিতে চাই। আর তাহল মানুষের জ্ঞান আল্লাহর দান। আর মানুষকে আল্লাহ চিন্তা করার শক্তি দিয়েছেন। সেই মতে আমরা বিজ্ঞান বলে একটা বিষয় জানি। সেই বিজ্ঞানের কল্যানে আমরা জেনেছি যে আমরা একটি সৌর জগতের বাসিন্দা একটি সৃর্যকে কেন্দ্র করে আমরা আছি। পৃথিবী তার একটি গ্রহ মাত্র এরকম আরো অনেক গ্রহ আছে। আমরা যখন স্কুলের ছাত্র ছিলাম তখন পড়তাম 7 টি গ্রহ তারপর হলো 9 টি 11 টি আর উপগ্রহের তো হিসাব বাড়তেই আছে। একটি সৃর্যকে কেন্দ্র করে আল্লাহ কত যে সৃষ্টি করে রেখেছেন তা একমাত্র আল্লাহ পাকই ভাল বলতে পারবেন। তার উপর ইদানিং কোন কোন বিজ্ঞানী আবার বলছেন সৃর্য একটি নয় এরকম আরো অনেক সৃর্য আছে। তাহলে সেই সৃর্যের একটি পরিবার আছে। সেখানে কি আছে তা কে বলবে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া। এগুলো আসলে মানুষকে আল্লাহুর পক্ষ থেকে সামান্য ইংগিত মাত্র যে মানুষ তোমরা দেখ আমার ভান্ডারের বিশালত্ব কত যা তোমরা কোনদিনই হিসাব করে বলতে পারবে না। পাঠক বুঝুন তাহলে কেন আল্লাহ এমন সব পুরস্কার দেওয়ার ঘোষনা আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। আল্লাহুর ভান্ডারে কোন কিছুর অভাব নেই। তিনি যা ইচ্ছা করেন তাই হয়। তিনি সব কিছুর মালিক তিনি পরম করুনাময় দয়ালু আল্লাহ। আমরা তার করুনা পাব সেই আশা করছি।  

বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০১১

স্বাগতম ঈদ-উল-আযহা

মুসলিম সমাজে ঈদ-উল-আযহা একটি পবিত্র খুশির দিন। এই চান্দের মাসে সারা পৃথিবী থেকে মুসলমানগন আল্লাহ পাকের নৈকট্য লাভের জন্য আল্লাহর ঘর বায়তুল কাবায় যায় এবং সেখান থেকে মদিনায় হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। সব নিয়ম কানুন মেনে পরিপূর্ণ হজ্ব পালন করতে পারলে মুসলমান গন সদ্য ভুমিষ্ট নবজাতকের ন্যায় বেগুনাহ হয়ে যায়। সত্যি এ বড় নেয়ামত আল্লাহর পক্ষ থেকে তার অনুগত বান্দাদের জন্য। পবিত্র জিলহজ্জ মাসের এই হজ্বব্রত পালন শেষে হাজিরা নিজ নিজ পক্ষ থেকে মহান আল্লাহর সন্তষ্টি লাভের আশায় কোরবানি করে থাকেন। শুধু হাজিগন ই নয় সারা দুনিয়ায় সে সকল মুসলমান মালদার রয়েছেন তাদের উপর ও কোরবানী করা ওয়াজিব। তাই এই দিন আল্লাহ তায়াকে সন্তষ্টি করার উদ্দেশ্যে প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমান কোরবানী করে থাকেন। আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় হাবিব এর মাধ্যমে এর মাধ্যমে তার বান্দাদের এর ফজিলত সম্পর্ক্যে জানিয়ে দিয়েছেন। ঈদের দিন মানে খুশির দিন। এই দিন সকল মুসলমান ধনি গরিব ভেদে সকলেই যাতে আনন্দে কাটাতে পারে সেই জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে রসুল আমাদেরকে পথ বাতলাইয়া দিয়েছেন। সকল মুসলমান এর পক্ষে কোরবানী করা সম্ভব নয়। মুসলমান দের মধ্যে যারা গরিব তারা কোরবানী করতে পারে না। তাইত মহান আল্লাহুর নিয়ম। ধনীরা কোরবানী করবে আর তার তিন ভাগের একভাগ গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দিবে। যাতে করে এই আনন্দের দিন যাতে করে সকল মুসলমান আনন্দ করতে পারেন। আমরা যারা কোরবানী করব তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক পুরস্কার যদি সেটা আল্লাহকে সন্তষ্টি করার জন্য তার অনুমোদিত নিয়মে করা হয়।

কোরবানী দাতা পশুর মাধ্যমে  যে কোরবানী করেন তা কেবল পশু কোরবানীর মধ্যেই সিমাবদ্ধ নয়। একই সাথে সাথে তাকে নিজের ভিতর কোন পশুত্ব থাকলে তা ও কোরবানী করতে হবে। নিজের ভিতরের সকল খারাপিকে কোরবানী করতে হবে। কোরবানী শব্দের অর্থ ত্যাগ করা। কোরবানীর মাধ্যমে আমরা কি ত্যাগ করব? আমাদের ত্যাগ করতে হবে ঐ সমস্ত দোষ যা আমার নিজের মধ্যে রয়েছে যা আমার জন্য ক্ষতির কারন। ত্যাগ করতে হবে লোভ, লালসা, হিংসা বিদ্বেষ, পরনিন্দা করা, যে কোন উপায়ে হোক অপরের ক্ষতি করা, বড়াই, অহংকার ইত্যাদি যে বিষয়গুলো আমার মধ্যে থাকবে, আমার দ্বারা অপরের ক্ষতির চেয়ে বরং আমারই বেশী ক্ষতি হবে, তাই কোরবানীর মাধ্যমে এই সকল বিষয়গুলিতে কোরবানী বা ত্যাগ করে নিজেকে ইসলামের পরিপূর্ন অনুসারী করে তুলতে হবে। আর আমার কোরবানী করা পশুর গোস্ত তিন ভাগ করে সমান একভাগ গরিব মিসকিনদের, একভাগ আমার আত্বিয়স্বজনদেরকে এবং একভাগ আমার নিজ পরিবারের জন্য বন্টন করতে হবে। তবে কোরবানী দাতার পরিবার এমন বড় যদি হয় যে, কোরবানীর পশুর সকল গোস্ত একবারে রান্না করলে তার পরিবরের এক বেলার আহার হবে সেই ক্ষেত্রে পুরাটাই তার পরিবারের জন্য রাখার বিধান রয়েছে সেই বিষয়ে কোরবানীদাতা অবশ্যই কোন আলেম এর সাথে পরামর্শ করে সঠিক বিষয়টি জেনে নিবে। 

পশু কোরবানী করার পর রয়েছে সামাজিক দায়বদ্ধতা। এই দায়বদ্ধতার জন্য কোরবানী করার পর অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, আমার কোরবানী করা পশুর উচ্ছিষ্ট যেমন রক্ত, ও অন্যান্য  আবর্জনা তে যেন কোন ভাবেই সমাজকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে। তাই কোরবানী করার পর পরিস্কার পরিছন্নতার বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। শহরে ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলতে হবে।

পরিশেষে ঈদের দিনটিতে সত্যিকারের খুশিতে মেতে উঠুক সমস্ত মুসলিম উম্মাহ,সকল মুসলমানদের মধ্যে জেগে উঠুক ভ্রাতুত্বের অটুট বন্ধন এই আশা সকল মুসলমান ভাইবোনদের কাছে রেখে এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।। 

সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১১

সাগর পাড়ে একদিন

বাংলাদেশের দক্ষিনে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। আর এই সাগড় পাড়ের বাসিন্দারা বিভিন্ন সময় নানারকম প্রাকৃতিক দৃর্যোগের সাথে মোকাবেলা করে তাদের জীবন ধারন করে থাকেন সে কথা কাহার ও অজানা নয়। ছোট ছোট দৃর্যোগের কথা আমরা কয়জনই বা জানি,কিভাবে ওরা তা মোকাবেলা করে থাকে তা অনেকেরই জানার বাহিরে থাকে। কিছু কিছু দৃর্যোগ যখন ব্যাপক আকারে ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায় তখন তা এই এলাকার মানুষের জীবন দৃর্বিসহ করে তোলে। হাজার হাজার প্রানের অকাল প্রনতিসহ বিপুল পরিমান ধন সম্পদের ক্ষতি করে। ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে রয়েছেন এমন ই দৃর্যোগ যা বিশ্বে সিড়র নামে খ্যাত। বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলে সাগর পাড়ের মানুষের জান ও মালের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির কারন এই সিডর।

সিড়র পরবর্তি মানুষের জীবনে যে কষ্ট নেমে এসেছিলো তা বাংলার মানুষকে ছাপিয়ে বিশ্বের সকল মানুষকে কাদিয়েছিলো। এর প্রভাবে তরতাজা প্রানগুলো যেভাবে ঝরে পড়েছিলো তার কান্না এমন কোন মানুষ নাই তার হৃদয় স্পর্শ করে নাই। সারাদেশের মানুষ যে যার মত করে ক্ষতিখস্ত মানুষের পাশে এসে দাড়াতে চেষ্টা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমি ও আমার একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এই সকল মানুষের পাশে দাড়ানোর উদ্দেশ্যে তখন সিডর আক্রান্ত একটি এলাকাতে গিয়েছিয়েছিলাম। এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে যে বিষয়গুলো জেনেছিলাম তার মধ্যে একটি বিষয় আজ ও আমি আমার মন থেকে মুছে ফেলতে পারি নাই। সেই বিষয়ে আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করার জন্য আমার চেষ্টা

পটুয়াখালীর খেপুপাড়া পার হয়ে কিছু দুর যেয়ে এলাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেল
একজন দোকান দার এর সাথে আলাপ করলে তিনি বললেন “আমি দোকানে ছিলাম হঠাৎ লোক জনের চিৎকার পানি আসছে। তারা তারি করে দোকান বন্ধ করতে লাগলাম। আমার দোকান বন্ধ করতে করতেই আমার মাজা সমান পানি তে ভরে গেল তার পর পানি বাড়তে লাগল” ।আরো কিছুদুর যেয়ে জানাগেল পানি এমন বেগে আসছিলো যে কার পক্ষে কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহন করার আগেই পানিতে সব ভাসিয়ে নিয়ে গেল।
এমনি ভাবে কার ও থেকে জানা গেল যে পানি ঠিক সেমন গতি আসসিল ঠিক তেমন গতিতেই আবার পানি সাগরে নেমে গেল। পানি আসার পর সাথে সাথেই বিপরীদ দিক থেকে একটি বাতাস প্রবাহিত হতে থাকলে পানি বেশীক্ষন স্থায়ী হয় নাই। পানি যদি বেশিক্ষন স্থায়ী হতো তাহলে এই সকল এলাকায় একটি প্রাণী ও বেচে থাকা সম্ভব হতো না।

কেন এভাবে পানি আসল কোথা থেকে এত পানি আসল কোথায় এই পানি জমা ছিলো আবার অল্প সময়ের মধ্যে এই পানি কোথায় গেল সেই বিষয়ে বিজ্ঞানের কি ব্যাথা আছে তা আমার জানা নাই। তবে আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞানে একটি বিষয় বার বার মনে আসে আর তাহল।
মহান সৃষ্টিকর্তা যে অপরিসীম ক্ষমতার অধিকারী এবং তিনিই যে দুনিয়ার সব কিছুর মালিক, দুনিয়ার সব কিছু যে তার ইশারায় পরিচালিত হয়। তিনি যা চান তাই যে হয়। তিনি যে সব কিছু করতে পারেন। তা মানুষকে দেখানোর জন্য নমুনা হিসাবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করেন।

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১১

বাবা মা


বাবা মা প্রতিটি মানুষের জীবনে দুনিয়াতে পরম বন্ধু। বাবা মা ছাড়া সন্তানের আপন বন্ধু আর কেহ হতে পারে না। তবে দুনিয়াতে সব জায়গায় ব্যাতিক্রম আছে। এখানেও থাকতে পারে। তবে আমার দৃষ্টিতে বাবা মা ই  হলো সন্তানের জন্য প্রকৃত বন্ধু। সন্তানের মঙ্গল কামনা বাবা মা এর মতো আর কে করতে পারে? বাবা পরিশ্রম করেন তার মনে থাকে একটাই উদ্দেশ্য আমার সন্তানেরা সুখে থাক। মা সন্তানদের কে পরম স্নেহ যত্নে লালন পালন করেন। বাবা মা কখন ও সন্তান এর সুখ কামনা না করে নিজের  সুখ কামনা করেন না। সন্তান যখন অুসুস্থ হয় বাবা মা এর মন তখন কঠিন পেরেশানির মধ্যে থাকে সমস্ত সামর্থ্য দিয়ে সন্তানকে সুস্থ করার আপ্রান চেষ্টা আর মহান দয়ালু আল্লাহ দরবারে সন্তানের সুস্থতা কামনা করতে থাকেন। এই সন্তান যখন বাবা মা থেকে অন্য কাউকে আপন ভাবতে শুরু করেন এবং সেই মোতাবেক চলতে থাকেন তখন সেই সন্তান আর সঠিক পথে থাকে না হয়ে পড়ে পথভ্রষ্ট। যার ফলে সাময়িক সুখলাভ করলেও তার শেষ ফল হয় ভীষন দৃর্বিসহ যন্ত্রনা দায়ক। যা দুনিয়া এবং দুনিয়া পরবর্তি জীবনে ও কষ্টের কারন হয়ে যায়। বাবা মা সন্তানের জন্য যা কিছু করেন কোন সন্তানের পক্ষে তার প্রতিদান দিয়ে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই সন্তানের উচিৎ তার বাবা মা কে যথা সম্ভব শ্রদ্ধা, সম্মান করা আর তারা যাতে সন্তানের দ্বারা কোন পথে কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল রাখা। যতদিন সন্তান স্বাবলম্বি না হয় ততদিন সন্তানকে যেমন করে বাবা মা লালন পালন করেন। সন্তান স্বাবলম্বী হবার পর থেকে বাবা মা যত দিন দুনিয়ায় থাকেন ততদিন ঠিক সেই ভাবেই বাবা মা এর সেবা করা উচিৎ।

সন্তানের জন্য দুনিয়ায় আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এক পরম নেয়ামত এই বাবা মা। বা মার দিকে একবার নেক নজরে তাকালে একটি কবুল হওয়া হজ্জের সওয়াব সন্তানের আমল নামায় লিপিবদ্ধ করা হয়। তাহা ছাড়া আল্লাহ তায়ালা বলেছেন সন্তানের জন্য বাবা মা দোয়া করলে তিনি সেই দোয়া কবুল করেন। আল্লাহুর তায়ালার পক্ষ থেকে সন্তানের জন্য এমন নেয়ামত আর কাউকে বলা হয় নি। 

আজকাল দেখা যায় অনেকে বৃদ্ধাশ্রম এর প্রতি উৎসাহি হয়ে পড়েছেন। এই উৎসাহ যদি এমন ক্ষেত্রে হয় যে সকল বৃদ্ধাকে দেখার মত কোন সন্তান নেই তাদেরকে এখানে রেখে তাদের জীবনের শেষ দিনগুলিতে তাদের সেবা করা, তারা যাতে জীবনের শেষ সময়ে এসে সুখে, শান্তিতে থাকতে পারে সেই বিষয়ে নিশ্চিত করা তাহলে এটা একটা  মহৎ উৎসাহ এবং তা মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তষ্টি অর্জন করা সহজ হবে।  আর যদি এমন হয় যে বাবা মা বৃদ্ধ হয়ে গেছে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলাতে পারছে নিজের স্ত্রী সন্তানদের সাথে খাপ খাচ্ছে না। সন্তান তার বাবা মা কে একটা ঝামেলা মনে করে কোন বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসল। এমন সন্তানের জন্য আফসোস। তারা পরম নেয়ামত চিনতে পারল না। মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তষ্টি অর্জন এই সকল সন্তানের দ্বারা কখন ও সম্ভব হবে বলে আমার মনে হয় না। উপরন্ত ঐ সন্তান কি চন্তা করে না যে, আজ সে সন্তান বা স্ত্রীর কারনে নিজের বাবা মা কে অন্যত্র সরায়ে রাখতেছে কাল বা পরশু সে ও ঐ সন্তানের কাছে একদিন বাবা হবে, ঐ স্ত্রী একদিন মা হবে সেই দিন তার এই আজকের আদরের সন্তান তাকে কোথায় রাখবে।

যারা বাবা মা হয়েছেন তারা খুব ভাল করে বুঝতে পারেন একজন বাবা বা একজন মায়ের কাছে সন্তান কত আদরের, নিজে না খেয়ে না পরে সন্তানকে খাওয়ান, পরান। সব সময় তাদের সন্তানের চিন্তা মাধায় বিরাজ করে। কিভাবে আমার সন্তানকে স্বাবলম্বি করা যায়। একবার ভাবুন তো আপনি ও তো একসময় কারও আদরের সন্তান ছিলেন আপনি যেমন করে আপনার সন্তানের জন্য করছেন, আপনার বাবা মা ও আপনার জন্য তাদের সাধ্যমত তারা একই কাজটি করেছিলেন। আজ আপনার সন্তান যদি আপনাকে কষ্ট দেয় আপনার কেমন লাগবে। তাহলে আপনার বাবা মা কে কষ্ট দিলে তারাও তো আপনার মতই কষ্ট পাবে।