সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১১

সাগর পাড়ে একদিন

বাংলাদেশের দক্ষিনে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। আর এই সাগড় পাড়ের বাসিন্দারা বিভিন্ন সময় নানারকম প্রাকৃতিক দৃর্যোগের সাথে মোকাবেলা করে তাদের জীবন ধারন করে থাকেন সে কথা কাহার ও অজানা নয়। ছোট ছোট দৃর্যোগের কথা আমরা কয়জনই বা জানি,কিভাবে ওরা তা মোকাবেলা করে থাকে তা অনেকেরই জানার বাহিরে থাকে। কিছু কিছু দৃর্যোগ যখন ব্যাপক আকারে ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায় তখন তা এই এলাকার মানুষের জীবন দৃর্বিসহ করে তোলে। হাজার হাজার প্রানের অকাল প্রনতিসহ বিপুল পরিমান ধন সম্পদের ক্ষতি করে। ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে রয়েছেন এমন ই দৃর্যোগ যা বিশ্বে সিড়র নামে খ্যাত। বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলে সাগর পাড়ের মানুষের জান ও মালের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির কারন এই সিডর।

সিড়র পরবর্তি মানুষের জীবনে যে কষ্ট নেমে এসেছিলো তা বাংলার মানুষকে ছাপিয়ে বিশ্বের সকল মানুষকে কাদিয়েছিলো। এর প্রভাবে তরতাজা প্রানগুলো যেভাবে ঝরে পড়েছিলো তার কান্না এমন কোন মানুষ নাই তার হৃদয় স্পর্শ করে নাই। সারাদেশের মানুষ যে যার মত করে ক্ষতিখস্ত মানুষের পাশে এসে দাড়াতে চেষ্টা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমি ও আমার একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এই সকল মানুষের পাশে দাড়ানোর উদ্দেশ্যে তখন সিডর আক্রান্ত একটি এলাকাতে গিয়েছিয়েছিলাম। এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে যে বিষয়গুলো জেনেছিলাম তার মধ্যে একটি বিষয় আজ ও আমি আমার মন থেকে মুছে ফেলতে পারি নাই। সেই বিষয়ে আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করার জন্য আমার চেষ্টা

পটুয়াখালীর খেপুপাড়া পার হয়ে কিছু দুর যেয়ে এলাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেল
একজন দোকান দার এর সাথে আলাপ করলে তিনি বললেন “আমি দোকানে ছিলাম হঠাৎ লোক জনের চিৎকার পানি আসছে। তারা তারি করে দোকান বন্ধ করতে লাগলাম। আমার দোকান বন্ধ করতে করতেই আমার মাজা সমান পানি তে ভরে গেল তার পর পানি বাড়তে লাগল” ।আরো কিছুদুর যেয়ে জানাগেল পানি এমন বেগে আসছিলো যে কার পক্ষে কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহন করার আগেই পানিতে সব ভাসিয়ে নিয়ে গেল।
এমনি ভাবে কার ও থেকে জানা গেল যে পানি ঠিক সেমন গতি আসসিল ঠিক তেমন গতিতেই আবার পানি সাগরে নেমে গেল। পানি আসার পর সাথে সাথেই বিপরীদ দিক থেকে একটি বাতাস প্রবাহিত হতে থাকলে পানি বেশীক্ষন স্থায়ী হয় নাই। পানি যদি বেশিক্ষন স্থায়ী হতো তাহলে এই সকল এলাকায় একটি প্রাণী ও বেচে থাকা সম্ভব হতো না।

কেন এভাবে পানি আসল কোথা থেকে এত পানি আসল কোথায় এই পানি জমা ছিলো আবার অল্প সময়ের মধ্যে এই পানি কোথায় গেল সেই বিষয়ে বিজ্ঞানের কি ব্যাথা আছে তা আমার জানা নাই। তবে আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞানে একটি বিষয় বার বার মনে আসে আর তাহল।
মহান সৃষ্টিকর্তা যে অপরিসীম ক্ষমতার অধিকারী এবং তিনিই যে দুনিয়ার সব কিছুর মালিক, দুনিয়ার সব কিছু যে তার ইশারায় পরিচালিত হয়। তিনি যা চান তাই যে হয়। তিনি যে সব কিছু করতে পারেন। তা মানুষকে দেখানোর জন্য নমুনা হিসাবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করেন।

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১১

বাবা মা


বাবা মা প্রতিটি মানুষের জীবনে দুনিয়াতে পরম বন্ধু। বাবা মা ছাড়া সন্তানের আপন বন্ধু আর কেহ হতে পারে না। তবে দুনিয়াতে সব জায়গায় ব্যাতিক্রম আছে। এখানেও থাকতে পারে। তবে আমার দৃষ্টিতে বাবা মা ই  হলো সন্তানের জন্য প্রকৃত বন্ধু। সন্তানের মঙ্গল কামনা বাবা মা এর মতো আর কে করতে পারে? বাবা পরিশ্রম করেন তার মনে থাকে একটাই উদ্দেশ্য আমার সন্তানেরা সুখে থাক। মা সন্তানদের কে পরম স্নেহ যত্নে লালন পালন করেন। বাবা মা কখন ও সন্তান এর সুখ কামনা না করে নিজের  সুখ কামনা করেন না। সন্তান যখন অুসুস্থ হয় বাবা মা এর মন তখন কঠিন পেরেশানির মধ্যে থাকে সমস্ত সামর্থ্য দিয়ে সন্তানকে সুস্থ করার আপ্রান চেষ্টা আর মহান দয়ালু আল্লাহ দরবারে সন্তানের সুস্থতা কামনা করতে থাকেন। এই সন্তান যখন বাবা মা থেকে অন্য কাউকে আপন ভাবতে শুরু করেন এবং সেই মোতাবেক চলতে থাকেন তখন সেই সন্তান আর সঠিক পথে থাকে না হয়ে পড়ে পথভ্রষ্ট। যার ফলে সাময়িক সুখলাভ করলেও তার শেষ ফল হয় ভীষন দৃর্বিসহ যন্ত্রনা দায়ক। যা দুনিয়া এবং দুনিয়া পরবর্তি জীবনে ও কষ্টের কারন হয়ে যায়। বাবা মা সন্তানের জন্য যা কিছু করেন কোন সন্তানের পক্ষে তার প্রতিদান দিয়ে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই সন্তানের উচিৎ তার বাবা মা কে যথা সম্ভব শ্রদ্ধা, সম্মান করা আর তারা যাতে সন্তানের দ্বারা কোন পথে কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল রাখা। যতদিন সন্তান স্বাবলম্বি না হয় ততদিন সন্তানকে যেমন করে বাবা মা লালন পালন করেন। সন্তান স্বাবলম্বী হবার পর থেকে বাবা মা যত দিন দুনিয়ায় থাকেন ততদিন ঠিক সেই ভাবেই বাবা মা এর সেবা করা উচিৎ।

সন্তানের জন্য দুনিয়ায় আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এক পরম নেয়ামত এই বাবা মা। বা মার দিকে একবার নেক নজরে তাকালে একটি কবুল হওয়া হজ্জের সওয়াব সন্তানের আমল নামায় লিপিবদ্ধ করা হয়। তাহা ছাড়া আল্লাহ তায়ালা বলেছেন সন্তানের জন্য বাবা মা দোয়া করলে তিনি সেই দোয়া কবুল করেন। আল্লাহুর তায়ালার পক্ষ থেকে সন্তানের জন্য এমন নেয়ামত আর কাউকে বলা হয় নি। 

আজকাল দেখা যায় অনেকে বৃদ্ধাশ্রম এর প্রতি উৎসাহি হয়ে পড়েছেন। এই উৎসাহ যদি এমন ক্ষেত্রে হয় যে সকল বৃদ্ধাকে দেখার মত কোন সন্তান নেই তাদেরকে এখানে রেখে তাদের জীবনের শেষ দিনগুলিতে তাদের সেবা করা, তারা যাতে জীবনের শেষ সময়ে এসে সুখে, শান্তিতে থাকতে পারে সেই বিষয়ে নিশ্চিত করা তাহলে এটা একটা  মহৎ উৎসাহ এবং তা মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তষ্টি অর্জন করা সহজ হবে।  আর যদি এমন হয় যে বাবা মা বৃদ্ধ হয়ে গেছে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলাতে পারছে নিজের স্ত্রী সন্তানদের সাথে খাপ খাচ্ছে না। সন্তান তার বাবা মা কে একটা ঝামেলা মনে করে কোন বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসল। এমন সন্তানের জন্য আফসোস। তারা পরম নেয়ামত চিনতে পারল না। মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তষ্টি অর্জন এই সকল সন্তানের দ্বারা কখন ও সম্ভব হবে বলে আমার মনে হয় না। উপরন্ত ঐ সন্তান কি চন্তা করে না যে, আজ সে সন্তান বা স্ত্রীর কারনে নিজের বাবা মা কে অন্যত্র সরায়ে রাখতেছে কাল বা পরশু সে ও ঐ সন্তানের কাছে একদিন বাবা হবে, ঐ স্ত্রী একদিন মা হবে সেই দিন তার এই আজকের আদরের সন্তান তাকে কোথায় রাখবে।

যারা বাবা মা হয়েছেন তারা খুব ভাল করে বুঝতে পারেন একজন বাবা বা একজন মায়ের কাছে সন্তান কত আদরের, নিজে না খেয়ে না পরে সন্তানকে খাওয়ান, পরান। সব সময় তাদের সন্তানের চিন্তা মাধায় বিরাজ করে। কিভাবে আমার সন্তানকে স্বাবলম্বি করা যায়। একবার ভাবুন তো আপনি ও তো একসময় কারও আদরের সন্তান ছিলেন আপনি যেমন করে আপনার সন্তানের জন্য করছেন, আপনার বাবা মা ও আপনার জন্য তাদের সাধ্যমত তারা একই কাজটি করেছিলেন। আজ আপনার সন্তান যদি আপনাকে কষ্ট দেয় আপনার কেমন লাগবে। তাহলে আপনার বাবা মা কে কষ্ট দিলে তারাও তো আপনার মতই কষ্ট পাবে।