বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

জেনে নিন কম্পিউটারের কাজের সুবিধার্থে কিবোর্ড শর্টকাট কমান্ড

keyboard-shortcut জেনে নিন একশ কি-বোর্ড শর্টকাট জেনে নিন একশ কি-বোর্ড শর্টকাট keyboard shortcutকম্পিউটারে মাউস দিয়ে ছোটখাট কাজ করাটা সাধারণ ব্যবহার‌ীদের জন্য খুবই আরামদায়ক। কিন্তু বড় ও জটিল সফটওয়্যারে কাজ করতে হলে দক্ষতা ও গতি বাড়াতে অবশ্যই কি-বোর্ড শর্টকাট জানতে হবে। অভ্যস্ত না হলেও চেষ্টা করে দেখুন, সাধারণ এমএস ওয়ার্ডে লেখালেখির সময়ও কিছু শর্টকাট জানা থাকলে কাজে গতি কতো বেড়ে যায়। এখানে এমন একশর বেশি শর্টকাটের একটি তালিকা দেয়া হলো:
Keyboard Shorcuts (Microsoft Windows)
1. CTRL+C (Copy)
2. CTRL+X (Cut)
3. CTRL+V (Paste)
4. CTRL+Z (Undo)
5. DELETE (Delete)
6. SHIFT+DELETE (Delete the selected item permanently without placing the item in the Recycle Bin)
7. CTRL while dragging an item (Copy the selected item)
8. CTRL+SHIFT while dragging an item (Create a shortcut to the selected item)
9. F2 key (Rename the selected item)
10. CTRL+RIGHT ARROW (Move the insertion point to the beginning of the next word)
11. CTRL+LEFT ARROW (Move the insertion point to the beginning of the previous word)
12. CTRL+DOWN ARROW (Move the insertion point to the beginning of the next paragraph)
13. CTRL+UP ARROW (Move the insertion point to the beginning of the previous paragraph)
14. CTRL+SHIFT with any of the arrow keys (Highlight a block of text)
SHIFT with any of the arrow keys (Select more than one item in a window or on the desktop, or select text in a document)
15. CTRL+A (Select all)
16. F3 key (Search for a file or a folder)
17. ALT+ENTER (View the properties for the selected item)
18. ALT+F4 (Close the active item, or quit the active program)
19. ALT+ENTER (Display the properties of the selected object)
20. ALT+SPACEBAR (Open the shortcut menu for the active window)
21. CTRL+F4 (Close the active document in programs that enable you to have multiple documents opensimultaneou sly)
22. ALT+TAB (Switch between the open items)
23. ALT+ESC (Cycle through items in the order that they had been opened)
24. F6 key (Cycle through the screen elements in a window or on the desktop)
25. F4 key (Display the Address bar list in My Computer or Windows Explorer)
26. SHIFT+F10 (Display the shortcut menu for the selected item)
27. ALT+SPACEBAR (Display the System menu for the active window)
28. CTRL+ESC (Display the Start menu)
29. ALT+Underlined letter in a menu name (Display the corresponding menu) Underlined letter in a command name on an open menu (Perform the corresponding command)
30. F10 key (Activate the menu bar in the active program)
31. RIGHT ARROW (Open the next menu to the right, or open a submenu)
32. LEFT ARROW (Open the next menu to the left, or close a submenu)
33. F5 key (Update the active window)
34. BACKSPACE (View the folder onelevel up in My Computer or Windows Explorer)
35. ESC (Cancel the current task)
36. SHIFT when you insert a CD-ROMinto the CD-ROM drive (Prevent the CD-ROM from automatically playing)
Dialog Box – Keyboard Shortcuts
1. CTRL+TAB (Move forward through the tabs)
2. CTRL+SHIFT+TAB (Move backward through the tabs)
3. TAB (Move forward through the options)
4. SHIFT+TAB (Move backward through the options)
5. ALT+Underlined letter (Perform the corresponding command or select the corresponding option)
6. ENTER (Perform the command for the active option or button)
7. SPACEBAR (Select or clear the check box if the active option is a check box)
8. Arrow keys (Select a button if the active option is a group of option buttons)
9. F1 key (Display Help)
10. F4 key (Display the items in the active list)
11. BACKSPACE (Open a folder one level up if a folder is selected in the Save As or Open dialog box)
Microsoft Natural Keyboard Shortcuts
1. Windows Logo (Display or hide the Start menu)
2. Windows Logo+BREAK (Display the System Properties dialog box)
3. Windows Logo+D (Display the desktop)
4. Windows Logo+M (Minimize all of the windows)
5. Windows Logo+SHIFT+M (Restorethe minimized windows)
6. Windows Logo+E (Open My Computer)
7. Windows Logo+F (Search for a file or a folder)
8. CTRL+Windows Logo+F (Search for computers)
9. Windows Logo+F1 (Display Windows Help)
10. Windows Logo+ L (Lock the keyboard)
11. Windows Logo+R (Open the Run dialog box)
12. Windows Logo+U (Open Utility Manager)
13. Accessibility Keyboard Shortcuts
14. Right SHIFT for eight seconds (Switch FilterKeys either on or off)
15. Left ALT+left SHIFT+PRINT SCREEN (Switch High Contrast either on or off)
16. Left ALT+left SHIFT+NUM LOCK (Switch the MouseKeys either on or off)
17. SHIFT five times (Switch the StickyKeys either on or off)
18. NUM LOCK for five seconds (Switch the ToggleKeys either on or off)
19. Windows Logo +U (Open Utility Manager)
20. Windows Explorer Keyboard Shortcuts
21. END (Display the bottom of the active window)
22. HOME (Display the top of the active window)
23. NUM LOCK+Asterisk sign (*) (Display all of the subfolders that are under the selected folder)
24. NUM LOCK+Plus sign (+) (Display the contents of the selected folder)
MMC COnsole Windows Shortcut keys
1. SHIFT+F10 (Display the Action shortcut menu for the selected item)
2. F1 key (Open the Help topic, if any, for the selected item)
3. F5 key (Update the content of all console windows)
4. CTRL+F10 (Maximize the active console window)
5. CTRL+F5 (Restore the active console window)
6. ALT+ENTER (Display the Properties dialog box, if any, for theselected item)
7. F2 key (Rename the selected item)
8. CTRL+F4 (Close the active console window. When a console has only one console window, this shortcut closes the console)
Remote Desktop Connection Navigation
1. CTRL+ALT+END (Open the Microsoft Windows NT Security dialog box)
2. ALT+PAGE UP (Switch between programs from left to right)
3. ALT+PAGE DOWN (Switch between programs from right to left)
4. ALT+INSERT (Cycle through the programs in most recently used order)
5. ALT+HOME (Display the Start menu)
6. CTRL+ALT+BREAK (Switch the client computer between a window and a full screen)
7. ALT+DELETE (Display the Windows menu)
8. CTRL+ALT+Minus sign (-) (Place a snapshot of the active window in the client on the Terminal server clipboard and provide the same functionality as pressing PRINT SCREEN on a local computer.)
9. CTRL+ALT+Plus sign (+) (Place asnapshot of the entire client window area on the Terminal server clipboardand provide the same functionality aspressing ALT+PRINT SCREEN on a local computer.)
Microsoft Internet Explorer Keyboard Shortcuts
1. CTRL+B (Open the Organize Favorites dialog box)
2. CTRL+E (Open the Search bar)
3. CTRL+F (Start the Find utility)
4. CTRL+H (Open the History bar)
5. CTRL+I (Open the Favorites bar)
6. CTRL+L (Open the Open dialog box)
7. CTRL+N (Start another instance of the browser with the same Web address)
8. CTRL+O (Open the Open dialog box,the same as CTRL+L)
9. CTRL+P (Open the Print dialog box)
10. CTRL+R (Update the current Web )

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ওয়েব সাইট



বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার প্রতিটিতে ‘‘জেলা তথ্য বাতায়ন‘‘ নামে ওয়েবসাইট প্রকাশ করেছে সরকার ।  নিচে প্রত্যেকটির জেলার ওয়েব সাইট বিভাগওয়ারী আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম ।  প্রত্যেকটা সাইট বাংলায় । এই সাইটগুলোর মাধ্যমে জেলাগুলো সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে ।  প্রতিটি ওয়েব সাইটে আছে জেলা, জেলার পটভূমি, ভৌগলিক প্রোফাইল, শিল্প ও বাণিজ্য, পত্র পত্রিকা, খেলাধূলা ও বিনোদন, ভাষা ও সংস্কৃতি, খনিজ সম্পদ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা, প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব, জন প্রতিনিধি, উপজেলা ও ইউনিয়ন সম্পর্কিত তথ্য । এছাড়া রয়েছে স্হানীয় স্কুল কলেজের তালিকা ভর্তি ও ফলাফল তথ্য এবং কৃষি বিভাগে রয়েছে সার পরিবেশকের তালিকা, খাদ্য উৎপাদন ই-কৃষি, ব্লক সুপারভাইজারের তালিকা । পর্যটন ও ঐতিহ্য লিংকে আছে হোটেল ও আবাসন দর্শনীয় স্থান, জেলার ঐতিহ্য জেলার মানচিত্র । স্বাস্থ্য বিভাগে রয়েছে  হাসপাতাল ও ক্লিনিক, ডাক্তারের ও স্বাস্থ্য কর্মীর তালিকা, স্বাস্থ্য কর্মসূচী । আপনার জেলার স্হানীয় সরকারের, নাগরিক সুবিধার তথ্য ও সরকারী অফিস সূমহের বিশদ বিবরণ আছে । তাছাড়া আপনি আপনার মন্তব্য ও সচরাচর জিজ্ঞাস্যাও করতে পারবেন উত্তর দিবে কিনা আল্লাহ-ই মালুম !! যাই হোক সাইটগুলোর নিরাপত্তা দূর্বল হলেও (কিছুদিন আগে ১৯টি সাইট হ্যাকারের কবলে পড়েছিল) প্রতিটি জেলা তথ্য প্রযূক্তির ছোঁয়ায় আসাতে ভাল লাগল । নিজ নিজ জেলার অজানা তথ্যগুলো জানতে পারবেন । তবে সাইটগুলোকে আপডেট রাখতে হবে আর না হলে প্রযূক্তির ছোঁয়া আশায় গুঁড়েবালিতে পরিণত হবে ।
একনজরে প্রতিটি জেলার ওয়েব সাইট:

ঢাকা বিভাগ


০১. ঢাকা সদর : http://www.dcdhaka.gov.bd/

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহর এই জেলায় অবস্থিত।
ভৌগলিক সীমানা
আয়তন : ১৬৮৩.২৭ বর্গ কিঃ মিঃ
ইতিহাস : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মোঘল-পূর্ব যুগে কিছু গুরুত্বধারণ করলেও শহরটি ইতিহাসে প্রসিদ্ধি লাভ করে মোঘল যুগে। ১৬১০ খ্রীষ্টাব্দে ইসলাম খান চিশতি সুবাহ বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন এবং সম্রাটের নামানুসারে এর নামকরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর। প্রশাসনিকভাবে জাহাঙ্গীরনগর নামকরণ হলেও সাধারণ মানুষের মুখে ঢাকা নামটিই থেকে যায়। নদীপথের পাশে অবস্থানের কারণে ঢাকা প্রাক-মোঘল যুগেই স্থানীয় বাণিজ্যের কেন্দ্র ছিল। এখানে উচ্চমান সম্পন্ন সূতিবস্ত্র উৎপাদিত হত যা মসলিন নামে পরিচিত। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায়১৯৫২,১৯৬৬,১৯৭০ সংগ্রামের ফসল হিসেবে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং পরিচিতি লাভ করে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঢাকা রাজনৈতিক,প্রশাসনিক কার্যকলাপ এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্ররূপে মর্যাদা লাভ করে।
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ ঢাকেশ্বরী মন্দিরলালবাগ কেল্লাআহসান মঞ্জিলহোসেনী দালানছোট কাটরাবড় কাটরা,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (লেক,জাবি বোটানিক্যাল গার্ডেন,সংশপ্তক), কার্জন হলঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভবন (পুরাতন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবন), সাত গম্বুজ মসজিদতারা মসজিদ, ঢাকা গেইট, পরীবিবির মাজার পার্কপার্ক ,
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ রমনা পার্কসোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ঢাকা শিশু পার্ক, বুড়িগঙ্গা নদীঢাকা চিড়িয়াখানাবাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘরমুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর, স্মৃতিসৌধ ও স্মারকঃ জাতীয় শহীদ মিনারশহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, (রায়ের বাজার), অপরাজেয় বাংলা-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আসাদ গেইট
আধুনিক স্থাপত্যঃ জাতীয় সংসদ ভবনবাংলাদেশ ব্যাংক ভবন, ভাসানী নভো থিয়েটারবসুন্ধরা সিটি

০২. গাজীপুর : http://www.dcgazipur.gov.bd/

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংশ্লেষে কালোত্তীর্ণ মহিমায় আর বর্ণিল দীপ্তিতে ভাস্বর অপার সম্ভাবনায় ভরপুর গাজীপুর জেলা । ইতিহাস খ্যাত ভাওয়াল পরগণার গহীন বনাঞ্চল আর গৈরিক মৃত্তিকাকোষের টেকটিলায় দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক এ জনপদ ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ গাজীপুর জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। মোগল-বৃটিশ-পাকিস্তান আমলে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে গাজীপুরের রয়েছে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনা পর্বে গাজীপুরেই সংঘটিত হয় প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধ। গাজীপুরে রয়েছে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তরসহ ১৯টি কেপি আই, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের একমাত্র হাইটেক পার্কসহ বহু সংখ্যক সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং ক্ষুদ্র/মাঝারী ও ভারী শিল্প কারখানাসহ দেশের তৈরী পোষাক শিল্পের বিরাট অংশ। ঢাকার সাথে দেশের উত্তর বঙ্গ ও উত্তর পূর্ব অঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে গাজীপুর গেইটওয়ে হিসেবে বিবেচিত । মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা টংগীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয় ।
ভৌগলিক সীমানা : গাজীপুর জেলার উত্তরে ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা, পূর্বে কিশোরগঞ্জ ওনরসিংদী জেলা এবং পশ্চিমে ঢাকা ও টাংগাইল জেলা অবস্থিত। [১]
গাজীপুর জেলার উপজেলাগুলি হল  : গাজীপুর সদর উপজেলাকালিয়াকৈর উপজেলাকালীগঞ্জ উপজেলাকাপাসিয়া উপজেলাশ্রীপুর উপজেলা
ইতিহাস : গাজীপুর জেলার একটি থানা শ্রীপুর।গাজীপুর জেলায় সংসদীয় আসন সংখ্যা ৪টি।তারমধ্যে শ্রীপুর ১নং সংসদীয় আসন।৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে শ্রীপুর থানা গঠিত হয়।
দর্শনীয় স্থান : গাজীপুরে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কিছু নাম উল্লেখ করা যেতে পারে- ভাওয়াল রাজবাড়ীভাওয়াল জাতীয় উদ্যান (National Park), আনসার একাডেমী, সফিপুর, নূহাশপল্লীজাগ্রত চৌরঙ্গীবলিয়াদী জমিদার বাড়ী
বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ : তাজউদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।

০৩. ফরিদপুর : http://www.dcfaridpur.gov.bd/

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
ভৌগলিক সীমানা : >
ইতিহাস : ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ফরিদপুর জেলা গঠন করা হয়। ফরিদপুরের নামকরণ করা হয়েছে এখানকার প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে। এই এলাকার প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে রয়েছে গারোদা মসজিদ (১০১৩ হিজরি), পাথরাইল মসজিদ ও দিঘী *১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ), সাতৈর মসজিদ (১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ)। এলাকার অন্য উল্লেখযোগ্য স্থাপনা হলো ফতেহাবাদ টাঁকশাল (১৫১৯-৩২ খ্রিস্টাব্দ), মথুরাপুরের দেয়াল, জেলা জজ কোর্ট ভবন (১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ), এবং ভাঙ্গা মুন্সেফ কোর্ট ভবন (১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দ), বসুদেব মন্দির ও জগবন্ধু আঙিনা।[১]
ফরিদপুর থেকে হাজি শরীয়তুল্লাহ ফরায়েজী আন্দোলন শুরু করেন। শরীয়তুল্লাহের পুত্র দুদু মিয়ার নেতৃত্বে এখানে নীল কর বিরোধী আন্দোলন হয়। জেলার প্রধান নীল কুঠিটি ছিলো আলফাডাঙা উপজেলার মীরগঞ্জে, যার ম্যানেজার ছিলেন এসি ডানলপ। গড়াই, মধুমতি ও বরশিয়া নদীর তীরে নীল চাষ হতো।
অর্থনীতি : এই এলাকার অর্থনীতি মুলত পাট কেন্দ্রিক । ফরিদপুর পাট এর জন্য বিখ্যাত । ফরিদপুর বাংলাদেশ এর অন্যতম বড় নদী বন্দর। এখান থেকে পাট নদী পথে সারা দেশে চলে যেত।
চিত্তাকর্ষক স্থান : ফরিদপুর জেলার চিত্তাকর্ষক স্থানগুলার মদ্ধে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে- নদী গবেষণা ইন্সটিটিউট, সুইচ গেট, ধলার মোড়, রাজেন্দ্র কলেজ (রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ), পদ্মা বাধ, পল্লী কবি জসীম উদ্দিন এর বাসভবন।
জনসংখ্যা : মোট জনসংখ্যা: ১৭,১৪,৪৯৬, পুরুষ: ৫০.৫৫%, মহিলা: ৪৯.৪৫%
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: ৪২৪, এই জেলায় শিক্ষার হার ৩৭.৪৪ %
  • বিশ্ববিদ্যালয়: ১
  • কলেজ: ৪৮
  • মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ২৩৪
  • মেডিকাল কলেজ : ১
  • মাদ্রাসা: ১৪১
  • তারার মেলা ঈশাণ মেমরিয়াল আধুনিক শিশু বিদ্যালয়
প্রধান শস্য : ফ্রিদপুর জেলায় প্রধান শস্যর তালিকায় রয়েছে, ধানপাটগম ও ডাল। এর মধ্যে রপ্তানী যোগ্য পণ্য পাট, পিয়াজ, ডাল, খেজুরের গুড় ইত্যাদি।
কৃতী ব্যক্তিত্ব : মুন্সি আব্দুর রউফ, বীরশ্রেষ্ঠ, শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পুরোধা এবং বাংলাদেশের জাতির জনক, আলাওল, মধ্যযুগের কবি, কাজী মোতাহার হোসেন, শিক্ষাবিদ, পরিসংখ্যানবিন, সাহিত্যিক, জসীম উদ্দিন, পল্লীকবি, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, ঔপন্যাসিক, কবি, মীর মশাররফ হোসেন, ঔপন্যাসিক, হাবিবুল বাশার, ক্রিকেটার, হুমায়ুন কবির, শিক্ষাবিদ, মৃণাল সেন, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক।, অমল বোস, অভিনেতা, রোজিনা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, রিয়াজ, চলচ্চিত্র অভিনেতা (তাঁর জন্ম ফরিদপুর হলেও পৈতৃক বাসস্থান যশোর জেলায়), ফজলুর রহমান বাবু , অভিনেতা, গায়ক, তারেক মাসুদ , চলচ্চিত্রকার

০৪. জামালপুর : http://www.dcjamalpur.gov.bd/

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
ভৌগলিক সীমানা : জামালপুর জেলার উত্তরে শেরপুর জেলা, দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলা, পূর্বে ময়মনসিংহ জেলা এবং পশ্চিমে বগুড়া জেলা ওযমুনা নদী অবস্থিত।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ : জামালপুর জেলায় ৭টি উপজেলা রয়েছে। এগুলো হল- জামালপুর সদর উপজেলাবক্সীগঞ্জ উপজেলাদেওয়ানগঞ্জ উপজেলাইসলামপুর উপজেলামাদারগঞ্জ উপজেলামেলান্দহ উপজেলাসরিষাবাড়ি উপজেলা
ইতিহাস : সাধক দরবেশ হযরত শাহ্ জামাল (র:) এর পূণ্যস্মৃতি বিজড়িত নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমন্ডিত গারো পাহাড়ের পাদদেশে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র বিধৌত বাংলাদেশের ২০তম জেলা জামালপুর।
চিত্তাকর্ষক স্থান : গাড় (খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী) পাহাড় এর পাদদেশে বকশীগঞ্জের বালূঝুড়ী ইউনিয়নের প্রাকৃতিক ঝর্ণার কলকালীতে মাতানো অবকাশ কেন্দ্র ঘুরে আসতে বেশ ভালই মনমাতানো পরিবেশ

০৫. গোপালগঞ্জ : http://www.dcgopalganj.gov.bd/

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
ভৌগলিক সীমানা : গোপালগঞ্জ জেলার আয়তন ১৪৯০ বর্গ কিলোমিটার। এই জেলার উত্তরে ফরিদপুর, দক্ষিণে বরিশাল, পূর্বে বরিশাল ওমাদারীপুর এবং পশ্চিমে বাগেরহাট ও নড়াইল জেলা অবস্থিত।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ : গোপালগঞ্জ জেলা পাঁচটি উপজেলায় বিভক্ত। এগুলো হচ্ছে- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলামুকসুদপুর উপজেলাকাশিয়ানী উপজেলাকোটালীপাড়া উপজেলা এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলা
ইতিহাস : ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর জেলার মহকুমা থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সৃষ্টি হয়। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে গোপালগজ্ঞ এলাকা ফরিদপুর জেলায় মাদারীপুর মহকুমা ও থানাধীন ছিল। ঐ সময়ে মাদারীপুরের সাথে এ এলাকায় জলপথ ছাড়া কোন স্থল পথের সংযোগ ছিল না। কোন স্টীমার বা লঞ্চ চলাচলও ছিল না। কেবলমাত্র বাচাড়িনৌকা, পানসি নৌকা, টাবুরিয়া নৌকা, গয়না নৌকা, ইত্যাদি ছিল চলাচলের একমাত্র বাহন। যাতায়াতের অসুবিধার কারণে এ এলাকায় পুলিশ প্রশাসন ছিল খুবই দুর্বল। মামলায় আসামীরা গ্রেফতারের ভয়ে দুর্গম বিল অঞ্চলে আত্বগোপন করে থাকত। এ সমস্ত অসুবিধার দরুন ১৮৭০ সালে গোপালগজ্ঞ থানা স্থাপিত হয়। ১৮৯৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কলকাতাগেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এর সীমানা নির্ধারিত হয়। ক্রমান্বয়ে এ অঞ্চলের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতি হতে থাকে। বর্তমানে যেখানে থানা অবস্থিত ঐ স্থানে একটি টিনের ঘরে থানা অফিসের কাজকর্ম চালু করা হয়।
১৯০৯ সালে কাশিয়ানী, মুকসুদপুর, গোপালগজ্ঞ সদর ও কোটালীপাড়া থানা নিয়ে গোপালগজ্ঞ মহকুমা স্থাপিত হয়। মিশন স্কুলের দক্ষিণ পার্শ্বে দেওয়ানী আদালত ও সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের স্থান নির্দিষ্ট হয়। তার দক্ষিণে মোক্তার লাইব্রেরীসহ ফৌজদারী আদালত ভবন ও সংশ্লিষ্ট অফিসের জন্য নির্ধারিত হয়। বর্তমানে যেখানে ডিসি অফিস সেখানে বিরাটকায় চারচালা গোলপাতার ঘর বাঁশের বেড়া দিয়ে ফৌজদারী কোর্ট ও সংশ্লিষ্ট অফিসের জন্য নির্মিত হয়। তার দক্ষিণে বর্তমান জেলখানার স্থানে একটি বিরাটকায় গোলের ঘর তুলে মজবুত বাঁশের বেড়া অস্থায়ী জেলখানা নির্মিত হয়। বর্তমানে যেখানে মোক্তার বার ভবন ঐ স্থানে একটি ছনের ঘরে মোক্তারগণ আইন ব্যবসা শুরু করেন। ঐ সময়ে কোন উকিল এখানে আইন ব্যবসা করতে আসেনি। গোপালগজ্ঞের প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলেন মি: সুরেশ চন্দ্র সেন। ১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি গোপালগজ্ঞ পৌরসভা গঠিত হয়। পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান পান্না বিশ্বাস। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোপালগজ্ঞ সদর থানা উপজেলায় উন্নীত হয়। প্রথম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছিলেন জনাব এইচ নুর মোহাম্মদ।
অর্থনীত : গোপালগঞ্জ মূলত কৃষি প্রধান অঞ্চল। এখানে ধান, গম, পাট, আখ, নানা ধরনের সব্জি জন্মে। এছাড়া এ জায়গার লোকজন বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছে।
চিত্তাকর্ষক স্থান : টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি ধর্মরায়ের বাড়ি দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি
বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ : শেখ মুজিবুর রহমান, রাজনীতিবিদ, সাবেক রাষ্ট্রপতি। শেখ হাসিনা, রাজনীতিবিদ, প্রধানমন্ত্রী

০৬. কিশোরগঞ্জ : http://www.dckishoreganj.gov.bd/

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
ভৌগোলিক সীমানা : কিশোরগঞ্জের ভৌগলিক আয়তন প্রায় ২,৬৮৮ বর্গ কিলোমিটার। এই আয়তনে১৩টি উপজেলা রয়েছে।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ : কিশোরগঞ্জে ১৩টি থানা। যথা- কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলাঅষ্টগ্রাম উপজেলাইটনা উপজেলাকরিমগঞ্জ উপজেলাকটিয়াদি উপজেলাকুলিয়ারচর উপজেলাতাড়াইল উপজেলানিকলী উপজেলাপাকুন্দিয়া উপজেলাবাজিতপুর উপজেলাভৈরব উপজেলামিটামইন উপজেলাহোসেনপুর উপজেলা
ইউনিয়নে সংখ্যা :১০৬টি
ইতিহাস : কিশোরগঞ্জের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। এখানে প্রাচীনকাল থেকেই একটি সুগঠিত গোষ্ঠী হয় এবং এখনোও তা বিরাজ আছে।
অর্থনীতি : কিশোরগঞ্জের অর্থনীতির চালিকা শক্তি অনেকটা হাওরের উপর র্নিভর। যেমন: হাওরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায় যা দেশের চাহিদার লভ্যাংশ পূরণ করতে সক্ষম। তাছাড়া কিশোরগঞ্জে পাটধান এবং অন্যান্য অনেক সবজি হয়ে থাকে যা দেশের বাইরেও রপ্তানি হয়।
চিত্তাকর্ষক স্থান : শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানগুরুদয়াল কলেজচন্দ্রাবতীর বাড়ী (নীলগঞ্জ), ঈসা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী জঙ্গলবাড়ীএগারোসিন্দুর
বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ : জিল্লুর রহমান - বাংলাদেশের বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ। আব্দুল হামিদ - বাংলাদেশের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং সংসদের দুইবারের মনোনীত স্পিকার। একজন বিশিষ্ট এডভোকেট ও রাজনীতিবীদ। আইভি রহমান - একজন সংসদ সদস্য ও প্রাক্তন রাজনীতিবীদ। সৈয়দ নজরুল ইসলাম - বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৭১ সালে অস্থায়ী সরকার গঠন করেন। জয়নুল আবেদীন - একজন বাংলাদেশের খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী।

০৭. মাদারীপুর : http://www.dcmadaripur.gov.bd/

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। জেলার আয়তন ১,১৪৪.৯৬ বর্গকিলোমিটার।
ভৌগোলিক সীমানা : ২৩০‑০০ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২০০-৩০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯০-৫৬ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯০০-২১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত এই জেলার বিস্তার। জেলার উত্তরে ফরিদপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলা, পূর্বে শরিয়তপুর জেলা, পশ্চিমে ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলা, এবং দক্ষিণে গোপালগঞ্জ ও বরিশাল জেলা।
উপজেলাসমূহ : মাদারীপুর সদর, শিবচর, কালকিনি, রাজৈর
চিত্তাকর্ষক স্থান : পর্বতের বাগান-মস্তফাপুর, প্রণবানন্দের মন্দির- বাজিতপুর, গণেশ পাগলেল মন্দির- কদমবাড়ী, রাজারাম রায়ের বাড়ি- খালিয়া, সেনাপতির দিঘি, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি- মাইজপাড়া

০৮. মানিকগঞ্জ : http://www.dcmanikganj.gov.bd/

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ : মানিকগঞ্জ জেলার উপজেলা গুলি হল - মানিকগঞ্জ সদর উপজেলাসিঙ্গাইর উপজেলাশিবালয় উপজেলাসাটুরিয়া উপজেলাহরিরামপুর উপজেলাঘিওর উপজেলাদৌলতপুর উপজেলা
চিত্তাকর্ষক স্থান : মানিকগঞ্জ জেলার আরিচা ঘাট এই এলাকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। যমুনা সেতুর আগে এই ঘাট দিয়েই যানবাহন পারাপার করা হতো। বেউথা ঘাট [কালিগঙ্গা নদীর তির]

০৯. নরায়নগঞ্জ : http://www.dcnarayanganj.gov.bd/

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। প্রাচ্যর ডান্ডী নামে পরিচিত। শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে অবস্থিত একটি বিখ্যাত নদী বন্দর।
ভৌগোলিক সীমানা : পূর্বে – ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা, পশ্চিমে – ঢাকা, উত্তরে – নরসিংদী ও গাজীপুর এবং দক্ষিণে – মুন্সিগঞ্জ। ঢাকা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকায় পাললিক মাটি জাতীয় সমতল ভূমিতে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ শহর।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ : নারায়ণগঞ্জ জেলা ৭টি থানায় বিভক্ত। সেগুলো হল – নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা থানা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, বন্দর থানা, আড়াইহাজার থানা, রূপগঞ্জ থানা ও সোনারগাঁও থানা।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলায় উপজেলা ৫টি। সেগুলো হল - নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাবন্দর উপজেলাআড়াইহাজার উপজেলারূপগঞ্জ উপজেলা ও সোনারগাঁও উপজেলা
* মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৬৩টি, * গ্রাম- ১৩৩টি, মহল্লা ৭৪টি। * পৌরসভা – ০১টি- সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা। * ৫টি ইউ,পি নিয়ে ডি.এন.ডি এলাকা গঠিত। এর আয়তন ৮,৫৪০ একর। * সিটি কর্পোরেশন – ০১টি। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা, বন্দর থানার কদমরসুল ও সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা নিয়ে এ কর্পোরেশন গঠিত হয়েছে)
ইতিহাস : ১৭৬৬ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা বিকন লাল পান্ডে (বেণুর ঠাকুর বা লক্ষীনারায়ণ ঠাকুর নামে ও পরিচিত) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট থেকে এ অঞ্চলের মালিকানা গ্রহণ করেন। তিনি প্রভু নারায়ণের সেবার ব্যয়ভার বহনের জন্য একটি দলিলের মাধ্যমে শীতলক্ষা নদীর তীরে অবস্থিত মার্কেটকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন। তাই পরবর্তীকালে এ স্থানের নাম হয় নারায়ণগঞ্জ। ১৮৮২ সালে নারায়ণগঞ্জকে মহকুমা করা হয়। ১৯৮৪ সালে এটি জেলায় উন্নীত হয়। ২০১১ সালের ৫ই মে নারায়ণগঞ্জকে সিটি কর্পোরেশন করা হয় ।
বর্তমানে শহরটি গার্মেন্টস নগরী হিসেবে পরিচিত। নিটওয়্যার রপ্তানীকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর প্রধান কার্যালয় নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। ফতুল্লা এনায়েতনগর এলাকায় অবস্থিত বিসিক শিল্পনগরীতে প্রায় ৭০০ গার্মেন্টস আছে। সারা নারায়ণগঞ্জ শহরে প্রায় ১ হাজার রপ্তানীমুখী গার্মেন্টস আছে। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ গার্মেন্টসই নিট গার্মেন্টস। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ বিখ্যাত পাট শিল্পের জন্য। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আদমজী পাটকল নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। অবশ্য বর্তমানে এই পাটকলটি বন্ধ করে সেখানে আদমজী ইপিজেড গড়ে তোলা হয়েছে। পাট ব্যবসায়ী ও রপ্তানীকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন বা বিজেএ এর প্রধান কার্যালয় নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। দেশের সবচেয়ে বড় সারের ব্যবসাও নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। এছাড়া গমআটা ও ময়দা ব্যবসার ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও অঞ্চলের জামদানিও মসলিনের কাপড় তৈরির ইতিহাস প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছরের পুরোনো। মিশরের মমির শরীরে পেচানো মসলিন এই সোনারগাঁওয়ের তৈরি বলে জানা যায়। বর্তমানে নানা রকম অবহেলার ফলে জামদানি ও মসলিন শিল্প ধ্বংসের পথে।
চিত্তাকর্ষক স্থান : পানাম নগরসোনারগাঁও, (অধুনা লুপ্ত) আদমজী জুট মিল, সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহের সমাধি (১৩৮৯-১৪১১), বাবা সালেহ মসজিদ (১৪৮১), গোয়ালদী মসজিদ (১৫১৯), সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহের এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ (১৪৮৪), হাজীগঞ্জের ঈশা খাঁ কেল্লা, সোনাকান্দা দুর্গ, কাঁচপুর ব্রিজ, কদমরসুল দরগাহ, বন্দর শাহী মসজিদ
নির্বাচনী এলাকা : ০৩ (তিন) টি, ২০৬ নারায়ণগঞ্জ-৩ (আংশিক), ২০৭ নারায়ণগঞ্জ-৪, ২০৮ নারায়ণগঞ্জ-৫ (আংশিক)।
১০. মুন্সিগঞ্জ : http://www.dcmunshiganj.gov.bd/
১১. ময়মনসিংহ : http://www.dcmymensingh.gov.bd/
১২. নরসিংদী : http://www.dcnarsingdi.gov.bd/
১৩. রাজবাড়ী : http://www.dcrajbari.gov.bd/
১৪. শরিয়তপুর : http://www.dcshariatpur.gov.bd/
১৫. শেরপুর : http://www.dcsherpur.gov.bd/
১৬. টাঙ্গাইল : http://www.dctangail.gov.bd/

চট্টগ্রাম বিভাগ


০১. চট্টগ্রাম সদর : http://www.dcchittagong.gov.bd/
০২. বাহ্মনবাড়িয়া : http://www.dcbrahmanbaria.gov.bd/
০৩. চাঁদপুর : http://www.dcchandpur.gov.bd/
০৪. লক্ষীপুর : http://www.dclakshmipur.gov.bd/
০৫. কুমিল্লা : http://www.dccomilla.gov.bd/
০৬. কক্সবাজার : http://www.dccoxsbazar.gov.bd/
০৭. ফেনী : http://www.dcfeni.gov.bd/
০৮. নোয়াখালী :  http://www.dcnoakhali.gov.bd/
০৯. বান্দরবান : http://www.dcbandarban.gov.bd/
১০. রাঙ্গামাটি : http://www.dcrangamati.gov.bd/
১১. খাগড়াছড়ি : http://www.dckhagrachhari.gov.bd/

রাজশাহী বিভাগ


০১. রাজশাহী সদর : http://www.dcrajshahi.gov.bd/
০২. পাবনা : http://www.dcpabna.gov.bd/
০৩. সিরাজগঞ্জ : http://www.dcsirajganj.gov.bd/
০৪. চাপাইনবাবগঞ্জ : http://www.dcchapainawabganj.gov.bd/
০৫. নাওগাঁ : http://www.dcnaogaon.gov.bd/
০৬. নাটোর : http://www.dcnatore.gov.bd/
০৭. জয়পুরহাট : http://www.dcjoypurhat.gov.bd/
০৮. বগুড়া : http://www.dcbogra.gov.bd/

রংপুর বিভাগ


০১. দিনাজপুর : http://www.dcdinajpur.gov.bd/
০২. কুড়িগ্রাম : http://www.dckurigram.gov.bd/
০৩. লালমনিরহাট : http://www.dclalmonirhat.gov.bd/
০৪. নীলফামারী : http://www.dcnilphamari.gov.bd/
০৫. গায়বান্ধা : http://www.dcgaibandha.gov.bd/
০৬. পঞ্চগড় : http://www.dcpanchagarh.gov.bd/
০৭. রংপুর : http://www.dcrangpur.gov.bd/
০৮. ঠাকুরগাঁও : http://www.dcthakurgaon.gov.bd/
০৯. নেত্রকোনা : http://www.dcnetrokona.gov.bd/

খুলনা বিভাগ


০১. খুলনা সদর : http://www.dckhulna.gov.bd/
০২. বাগেরহাট : http://www.dcbagerhat.gov.bd/
০৩. চুয়াডাঙ্গা : http://www.dcchuadanga.gov.bd/
০৪. কুষ্টিয়া : http://www.dckushtia.gov.bd/
০৫. যশোর : http://www.dcjessore.gov.bd/
০৬. ঝিনাইদহ : http://www.dcjhenaidah.gov.bd/
০৭. মাগুরা : http://www.dcmagura.gov.bd/
০৮. মেহেরপুর : http://www.dcmeherpur.gov.bd/

০৯. নড়াইল : http://www.dcnarail.gov.bd/

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ : নড়াইল সদরলোহাগড়াকালিয়ানড়াগাতি উপজেলা
আয়তন (বর্গ কিমি) ৯৯০
জনসংখ্যা মোট : ৬,৮৯,০২১, পুরুষ:৫৪.২২%, মহিলা: ৪৫.৭৮%
ইতিহাস : বর্তমানে নড়াইল একটি জেলা শহর। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ মাসে তৎকালীন মহকুমা হতে জেলা হিসেবে ¯^xKwZ লাভ করে। এই জেলার উত্তরে মাগুরা জেলার শালিখা ও মহম্মদপুর থানা, দক্ষিণে খুলনা জেলার তেরখাদা, দীঘলিয়া ও মোল্লার হাট, পূর্বে ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ এবং পশ্চিমে যশোর জেলার অভয়নগর, বাঘারপাড়া ও কোতয়ালী থানা অবস্থিত। নড়াইল জেলার আয়তন ৯৭৬ বর্গ কিলোমিটার এবং লোকসংখ্যা ৬৫৯৬৮১ এর মধ্যে ৩৩৩৮১৬ জন পুরুষ ও ৩২৫৮৬৫ জন মহিলা। নড়াইলকে মোটামুটি নদী সমৃদ্ধ অঞ্চল বলা যায়। এই জেলার উপর দিয়ে মধুমতি, চিত্রা, কাজলা, নলিয়া, নড়াগাতি, নবগঙ্গা, কালিগঙ্গা ও আঠারবাঁকি ছাড়াও শিরোমনি শাখার গাল ও হ্যালিক্যাকস ক্যানেল প্রবাহিত ছিল। তন্মধ্যে ৩/৪ টি নদী মৃত বলা চলে, অপর ৮/৭টি নদী এখন প্রবাহমান।
ভূতাত্বিকদের মতানুসারে আনুমানিক দশ লক্ষ বৎসর পূর্বে গঙ্গা নদীর পলিমাটি দ্বারা যে গঙ্গেয় ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয়েছিলো’ সেই দ্বীপসমূহের অন্তর্গত এক ভূখন্ডই হল বর্তমান নড়াইল জেলা। তৎকালে নড়াইল জেলা সাগর তীরবর্তী বর্তমান সুন্দরবনের অন্তর্ভূক্ত ছিল। ষাট, সত্তর বৎসর পূর্বেও এই জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পুকুর বা কুয়া খনন করে হরিণ, বাঘ ও অন্যান্য জীবজন্তুর ফসিল পাওয়া যেত এবং তা থেকে প্রমাণিত যে নদীমাতৃক এই জেলার সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বনভূমি বিস্তৃত ছিলো।
ইতিহাস অনুযায়ী জানা যায় যে গুপ্ত যুগে নড়াইল অঞ্চলের পূর্ব সীমান্ত মধুমতি নদী পর্যন্ত, সমগ্র যশোর সহ গুপ্ত সম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত ছিল এবং ইহা ৩৪০ হতে ৩৭৫ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিলো। রাজা শাশাঙ্ক ৬০০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা শাসন করেন এবং তার রাজধানী ছিল কর্ণ সুবর্ণ নগর মতান্তরে লক্ষণাবর্তী। অতঃপর সম্রাট হর্ষ বর্ধন শশাঙ্ককে পরাজিত করে এই অঞ্চলকে তারা করায়ত্ত করেন। অতএব বলা যায় যে বৃহত্তর যশোরসহ নড়াইল জেলা শশাঙ্গ ও হর্যবর্ধন রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত ছিল। আনুমানিক দেড়শত বৎসর নড়াইল জেলা অঞ্চলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র f~-¯^vgx বাহুবলে শাশিত হয়েছিল বলে জানা যায়। শুধু এই অঞ্চলই নয় সমগ্র বাংলাদেশই এরূপ দু’জন রাজা ছিলেন নয়াবাড়ীর পাতালভেদী রাজা এবং উজিরপুর কশিয়াড়ার রাজা।
পরবর্তী সময়ে এ অঞ্চলে পাল বংশ দ্বারা শসিত হয়। পাল বংশের পতনের কর্ণাটক হতে আগত সেন রাজাদের রাজত্য কায়েম হয়। ১২০০ খ্রীষ্টাব্দে তুর্কি সেনা নায়ক ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজীর বাংলাদেশ অধিকারের ফলে রাজা লক্ষণ সোনের রাজত্বকাল সমাপ্তি ঘটতে থাকে। এরপর আসে মুসলিম শাসনামল। তখন, বাংলার অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় পর্যায়ক্রমে ৩৭ বৎসর পাঠান আমল এবং অতঃপর প্রায় দুইশত বৎসর ¯^vaxb সুলতানী আমল বিরাজমান ছিল। ইংরেজ আমলে ১৭৮৬ সালে যাশোর একটি জেলা রূপে ¯^xK…wZ পায়। তখন নড়াইলের পূর্বাঞ্চল ব্যতীত সমগ্র বৃহত্তর যশোর সহ বৃহত্তর খুলনা জেলা যশোরের অন্তর্গত ছিল। ১৯৯৩ সালে নলদী পরগণা সহ ভূষণা ফরিদপুর জেলার পশ্চিমাঞ্চল যশোরের অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৮৪২ সালে খুলনাকে পৃথক মহকুমায় পরিণত করে নড়াইলের কালিয়া থানার দক্ষিণাঞ্চল তার অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ১৮৬১ সালে নীল বিদ্রোহের সময় নড়াইল একটি পৃথক মহকুমা স্থাপিত হয়। মহকুমা সদরের স্থান নির্বাচনের জন্য মহিষখোলা মৌজার নড়াইল মহকুমার সদরকেই বেছে নেয়া হয়। প্রকৃত নড়াইল মৌজা শহর হতে ৩ কিলোমিটার দূরে যেখানে নড়াইলের জমিদারদের প্রসাদ অবস্থিত ছিলো এবং অপরদিকে মহকুমা প্রশাসকের বাসভবনই নীলকরদের কুঠিবাড়ী ছিল।
১৯০১ সালের শুমারী অনুযায়ী নড়াইল মহকুমা-নড়াইল, বড় কালিয়া, লোহাগড়া থানা mgš^‡q গঠিত যার লোক সংখ্যা ছিলো ৩৫২২৮৯ জন। ১৯৩৯ সালের তথ্যে জানা যায় যে, সাবেক যশোরের পাঁচটি মহকুমার পূবাঞ্চলের একটি সমৃদ্ধশালী মহকুমা ছিল নড়াইল। ১৯৩৫ সালে সীমানা পূর্ণগঠনের প্রেক্ষিতে বিদালী, পোড়ালী ও শেখহাটি ইউনিয়নকে নড়াইল থানার সাথে এবং পোড়লী ইউনিয়নকে কালিয়া থানার সাথে সংযুক্ত করা হয়।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর লোহাগড়া, কালিয়া, আলফাড়াঙ্গা ও নড়াইল এই চারটি থানা mgš^‡q নাড়াইল মহকুমা অবশিষ্ট থাকে। ১৯৬০ সালে আবার আলফাডাঙ্গা নাড়াইল হতে বিছিন্ন করে ফরিদপুরের সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এইভাবে বিভিন্ন সময় নড়াইলের ভৌগোলিক সীমারেখা সংকুচিত করা হয়েছে।
বর্তমানে ৪টি থানা mgš^‡q নড়াইল জেলা গঠিত-
লোহাগড়া, কালিয়া, নড়াগাতি ও নড়াইল সদর।
১৯৪৮ সালে ১লা মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে নড়াইলকে জেলা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হলেও অনেক সংগ্রাম, হরতাল, সমাবেশ ও অনশন ধর্মঘটের ফলশ্রুতিতে ১৯৮৪ সালের ১লা জুলাই নাড়াইলকে পূণাঙ্গ জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নড়াইল জেলার বিশেষ বৈশিষ্টের অধিকারী। যেমন জেলার শিক্ষিতের হার ২৯% যেখানে দেশের শিক্ষিতের হার ২৪%। জেলার ১টি সরকারী ও ১টি মাহিলা কলেজ সহ মোট ৬টি কলেজ বিদ্যমান। ৭৫টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২টি সরকারী, ৯টি বালিকা ও জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭টি। এছাড়াও ১টি মহিলা মাদ্রাসা ও ১টি কামিল মাদ্রাসা রয়েছে। ঐতিহাসিক পুরাকীর্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল প্রায় দেড় ডজন স্থাপনা। তন্মধ্যে, রায়ত্তামের জোড়া বাংলা, নলদী গাজীর দরগাহ, পাতালবেদী রাজার বাড়ী লোহাগড়া প্রাচীন জোড় বাংলা, রাজা কেশব রয়ের বাড়ী, লক্ষ্মীপাশা কালীবাড়ী অন্যতম।
এইসঙ্গে ছিলো নড়াইলের কিংবদন্তীসম ফকির দরবেশ ও ধর্মপ্রচারকদের নাম উল্লেখযোগ্য যোমন- ফকির ওসমান, সাধক লেংটা শাহ, বুড়ো দেওয়ান, গঙ্গাধর পাগল অন্যতম। নড়াইলের বিভিন্নস্থনে চারজন জমিদার ছিল, যেমন নড়াইলের জমিদার হাটবাড়ীয়ার জমিদার কালাড়া ও নলদীর জমিদার, এছাড়াও এদের অধীন ৭ জন তালুকদার বা ছোট জমিদার দিন। নীলচাষ আমলে সমস্ত নড়াইলে প্রায় ২০টির মত নীল সাহেবদের কুঠিবাড়ী ছিল। সমস্ত জেলার প্রায় দেড়শত গ্রাম ও জনপদ নিয়ে গঠিত।
নড়াইল জেলায় রয়েছে প্রায় দুইশত বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, Z‡š^‡a¨ বিশেষ খ্যাতি সম্পন্ন ৭জনের  নাম অন্তর্জাতিকভাবে ¯^xK…Z, যেমন – সৈয়দ নওশের আলী- ফজলুল হক মন্ত্রী সভার মন্ত্রী, এস এম সুলতান- আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কিংবদন্তীসম শিল্পী, উদয় শঙ্কর- ভূবনখ্যাত শ্রেষ্ঠ নৃত্যশিল্পী, পন্ডিত রবিশঙ্কর- আন্তজর্তিক খ্যাতিসম্পন্ন সেতার শিল্পী, চারণ কবি মোসলেমউদ্দিন – ১৩০০ সালের রচয়িতা, কবিয়াল বিজয় সরকার – শ্রেষ্ঠ কবি গায়ক, ডাঃ নিহার রঞ্জন গুপ্ত- প্রায় ৫০টি উপন্যাসের লেখক, নূর জালাল – তেভাগা আন্দোলনোর মধ্যমনি, কমলদাশগুপ্ত – নজরুল সঙ্গীততের নির্ধারিত সুরকার ও অমলকৃষ্ণ সোম প্রাখ্যাত মঞ্চাভিনেতা ১০০ টির মতো মঞ্চ নাটক করেছেন, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মুহাম্মদ – ১৯৭১ এর সম্মুখসমরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: বিশ্ববিদ্যালয়: ০, কলেজ : ১৫, মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ৯৪, মাদ্রাসা : ৮৫
শিক্ষার হার : ৩৫.৬ %
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব : এস এম সুলতান
প্রধান শস্য : ধান, পাট, গম
রপ্তানী পণ্য : নারিকেল, পান, চিংড়ি
চিত্তাকর্ষক স্থান : নিরিবিলি পিকনিক কর্নার(লোহাগড়া), চিত্রা রিসোর্ট, নড়াইল(চিত্রানদীর পাড়ে), চিত্রশিল্পী এস,এম,সুলতান এর বাড়ী, স্বপ্ন বীথি(পিকনিক কর্নার) কচু বাড়িয়া লোহাগড়া
১০. সাতক্ষীরা : http://www.dcsatkhira.gov.bd/

সিলেট বিভাগ


০১. সিলেট সদর : http://www.dcsylhet.gov.bd/
০২. মৌলভীবাজার : http://www.dcmoulvibazar.gov.bd/
০৩. হবিগঞ্জ : http://www.dchabiganj.gov.bd/
০৪. সুনামগঞ্জ : http://www.dcsunamganj.gov.bd/

বরিশাল বিভাগ


০১. বরিশাল সদর : http://www.dcbarisal.gov.bd/
০২. বরগুনা : http://www.dcbarguna.gov.bd/
০৩. ভোলা : http://www.dcbhola.gov.bd/
০৪. ঝালকাঠি : http://www.dcjhalakathi.gov.bd/
০৫. পটুয়াখালী : http://www.dcpatuakhali.gov.bd/
০৬. ফিরোজপুর : http://www.dcpirojpur.gov.bd/